সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

সাঘাটায় সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগেবন কর্মকর্তার তদন্ত

সাঘাটায় সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগেবন কর্মকর্তার তদন্ত

সাঘাটা প্রতিনিধিঃ সাঘাটায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গার ২০ লাখ টাকা মূলের কাঠের গাছ বিক্রির অভিযোগের ঘটনা উপজেলা বন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সাঘাটা উপজেলা প্রশাসন। তদন্তে দায়িত্ব প্রাপ্ত সাঘাটা উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান গত রোববার সরেজমিনে গিয়ে গাছ বিক্রি ও কেটে নেয়ার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দি মৌজায় ১নং খাস খতিয়ান ভূক্ত দাগ নং- ৫৭, জমি ৫৪.৭১ একর, উক্ত দাগে আনুমানিক ৩০ বছর আগে সরকারি ওই জমিতে সরকারিভাবে ৪০/৪৫ টি রেইন্ট্রিকড়াই গাছ রোপন করা হয় । বর্তমানে প্রতিটি গাছের আনুমানিক মূল্য ৬০,০০০/- হতে ৬৫,০০০/- টাকা । উক্ত গাছ গুলি মুল্যবান হওয়ায় উক্ত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের লোভ হয় । তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বন বিভাগ কিংবা সরকারি কর্মকর্তাগণের অনুমতি ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই এলাকায় প্রভাবখাটিয়ে অন্তত ২০ লাখ টাকা মূল্যের কাঠের গাছগুলো নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করেন । এতে স্থানীয়রা বাঁধানিশেধ করতে গেলে তাদের নানা ভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও তাঁর লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকিট লিখিত এবং ইনিয়ন ভুমি অফিসে দায়িত্বরত উপসহকারি ভুমি কর্মকতার নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ আলী জানান, গ্রামবাসি বিক্রি করা গাছ উদ্ধারসহ দোষিদের শাস্তি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযুক্ত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের সাথে কথা হলে তিনি গাছগুলো নিজের রেডভুক্ত জমির এবং দেলুয়াবাড়ি মৌজার বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভুমি উপসহকারি কর্মকর্তা মাহবুর রহমান -এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ওই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সরকারি গাছ বিক্রি বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেছি। গাছের যায়গাটি হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর দীঘলকান্দি মৌজার। তাছাড়া ওই সাবেক চেয়ারম্যান গাছের জায়গা নিজের বলে দাবি করলেও তিনি তার স্বপক্ষে জমির কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী মৌজার বাসিন্দা হওয়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এলাকার প্রভাবখাটিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি মূল্যবান গাছগুলো নিজেন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন। এখন উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে এসব মুল্যবান গাছ কর্তনের সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলীর সাথে এ নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত ভার সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমান হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com